কম্পিউটারের বিভিন্ন পোর্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

কম্পিউটার পোর্ট (Computer port): 

কম্পিউটার পোর্ট হল একধরনে সংযোগস্থল । কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে বিভিন্ন ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস গুলো সংযোগ করা হয় । এই সংযোগ পয়েন্ট কে বলা হয় পোর্ট। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনে পোর্ট  দেখা যায়। যেমন- .Serial Port, VGA Port, Parallel Port.USB Port, MIDI Port  ইত্যাদি পোর্ট দেখা যায়।

PS/2 (Personal System 2)পোর্ট:

১৯৮৭ সালে আইবিএম   পিএস২ স্ট্যান্ডার্ডটি চালূ করেছে। আর এই নাম টি এসেছে আইবিএম র্পাসোনাল সিস্টেম -২ সিরিজ থেকে এসেছে ।পিএস২ কানেক্টর হচ্ছে ৬ পিন বিশিষ্ট্য মিনি ডিআিইএন  কানেক্টর যা কীবোর্ড এবং মাউস সংযোগে ব্যবহৃত হয়।



 সচরাচর পিএস২ কানেক্টরের কীবোর্ড সংযোগকারী অংশের রঙ টি বেগুনি থাকে এবং অন্যদিকে 
মাউস কানেক্টর অংশের রঙ সবুজ থাকে। তবে বিভিন্ন কম্পিউটারে বিভিন্ন রঙ থাকতে পারে।

NET WORKING PORT(নেট ওয়াকিং পোর্ট):

 কম্পিউটারের নেট ওর্য়াক সংযোগ করার জন্য নেট ওয়ার্ক কার্ড বা ল্যানকার্ড  পোর্ট টি ব্যাবহার করা হয় । ইথারনেট পোর্ট পিসির নেট ওর্য়াক এর জন্য একটি জনপ্রিয় ও দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্যবস্থা । অনেক সময় একে RJ-45 port নামেও ডাকা হয়। 




VGA Port(ভিজিএ পোর্ট)

 কম্পিউটারের মূর মাদারবোর্ড বা ভিডিও ডিসপ্লে কার্ডে এই পোর্ট টি সংযোগ দেয়া থাকে। অর্থাৎ আমরা মনিটরের যেসব ছবি, ভিডিও এবং সর্বপোরি যা দেখি তা মূলত ভিজিএ কেবল এর মাধ্যমে  তা আউটপুট চিত্র। এই পোর্ট টি কম্পিউটার সিসস্টেম ইউনিটের সাথে মনিটরে সংযোগ থাকে। এই পোর্টের পিন সংখ্যা ১৫ টি।

USB Port(ইউএসবি পোর্ট):

 USB  এর পূর্ণরূপ হচ্ছে  Universal Serial Bus । এটি সিসস্টেম িইউনিটের সাথে ইউএসবি বাস ও ইএসবি সাপোর্টেড ডিভাইস সমুহ সংযোগ রক্ষার জন্য মাদারবোার্ড এর সাথে যে পোর্ট ব্যাবহার করা হয় তাকে ইউএসবি পোর্ট বলে। এই পোর্টে ইউএসবি মাউস , কিবোর্ড,মডেম, পেনড্রাইভ ইত্যাদি  ব্যাবহার করা যায়।


SERIAL PORT সিরিয়াল পোর্ট: 

সিরিয়াল কমিউনিকেশন ডিভািইস সংযোগ দেয়ার জন্য যে ব্যাবহার করা হয় তাকে সিরিয়াল পোর্ট বলা হয় । এতে মোট ৯ টি পিন থাকে । মডেম এবং মাউস সিরিয়াল কমিউনিকেশন ডিভাইস এর অন্যতম উদাহারণ  । তবে বর্তমানে USB System প্রচলন হওয়ায়, এই  সিরিয়াল পোর্ট সিসস্টেম  ব্যাবহার করা হয় না । 

PARALLEL PORT (প্যারালাল পোর্ট):

 এই প্যারালাল পোর্ট ডেটা সমান্তরাল ভাবে আদান -প্রদান হয়। এই পোর্টে প্রিন্টার স্ক্যানার  ,সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ  ইত্যাদি যন্ত্র সংযুক্ত করা হয়।  অনেক সময় েএই পোর্টকে প্রিন্টার পোর্ট হিসেবে অাখ্যায়িত করা হয়। এই লজিক্যাল নাম LTP(Line print Terminal)


AUDIO PORT (অডিও পোর্ট):

অডিও ইন করার জন্য অডিও ইন বা মাইক্রোফোন পোর্ট এবং অডিও আউটের জন্য অডিও আউট এবং স্পিকার পোর্ট থাকে।

Previous
Next Post »

Microsoft Office 2013 এর পরিচিতি

Microsoft office 2013 Concept: Microsoft Office productivity Suiteএ তৃতীয় যুগান্তরী  ভার্সন হচ্ছে  Microsoft Office 2013, এটি Microsoft ...